ভাই সাইদী হুজুরও কিন্তু বলছিলো নবী অক্ষর জ্ঞান জানা ছিলো না,,কিন্তু দঃখের বিষয় তখন এতো মিডিয়া ছিলো না,, তাই হয়তো কোন বিতর্ক হয় নি,, তবে শ্রেষ্ঠ তাফসির কারক ছিলেন।।
@@mamunchowdhury1423 ji ei kotha sotto je nobir okkhor gean chilo na.nobir jodi okkhor gean thakto tahole kafer ra bolto qur-an srishtikorter bani noi,nobiji nije theke eishob bolchen.tobe okkhor gean nei mane ei noi nobiji murkho
জনাব অাজহারি সাহেব! একটু ক্লিয়ার করবেন অাসলে অাপনি কি জামাতে ইসলামির কোন সদস্য..? প্লিজ কোন বদগুমান করবেন না শুধু একটা সন্দেহ দূর করার জন্যই প্রশ্নটা করেছি।
এনারা দুজনই আমার প্রিয় হুজুর পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সুরা হতেই তথ্য উপাত্ত প্রমান সহকারে শতভাগ সঠিক সত্য বিষয়েগুলি ওয়াজ বয়ান করে অত্যন্ত প্রাণবন্ত চমৎকার সুন্দর করে গুছিয়ে খুবই সহজ করে বুঝিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে আপনারা কি আমার সাথে একমত ?
@@sunnahmedia4713 মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@sunnahmedia4713 ১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@@hossainahmad1145 (৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়। এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে? ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত) ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না। # হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ) # হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড) ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে। ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত। # ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)। বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। # হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা) # ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা) # কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
Assalamualaikum "আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন, বিষয়ই গোপন নেই। ❤️(সূরা আল ইমরান,আয়াত-০৫)❤️ আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন, এবং হেদায়েত দান করুন, আমিন, জাযাকাল্লাহ খায়ের,
আল্লাহ গো আমি তোমার দেশ ভারতের একটি কোন থেকে ফরিয়াদ করছি আমি মুর্খ তবে আমার মনে হয় আল্লামা সাঈদির মতো খুব কমই আলেম আপনি সৃষ্টি করেছেন এনাকে আর একবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও গো আল্লাহ
(১) হিজাব ফরজ ছিল উম্মুল মোমেনিনদের জন্য নির্দিষ্ট। সাধারণ মোমেন নারীর জন্য হিজাব ফরজ ছিল না। তাদের সতর ঢাকা ফরজ। ~~~~~~~~~~~`~~~~~ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)। তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@@sunnahmedia4713 মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
(৭) সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, " লা ইউবদিনা যীনাতাহুন্না ইল্লা মা যহরা মিনহা "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। "অলাইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা যুয়ুবিহিন্না "। আর তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে। উরওয়া থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা( রাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রথম হিজরত কারিনী মহিলাদের প্রতি দয়া করেছেন। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন তারা তাদের সেলাইবিহীন কাপড় দু ভাগ করে তার সাহায্যে মাথা ডেকে নেয়। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তাদের চাদর নিয়ে লম্বার দিক থেকে দু ভাগ করে একভাগ দিয়ে মাথা ঢেকে নেয় (সহি বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা নূর)। হাফেজ ইবনে হাজার রঃ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম হিজরত কাহিনী মহিলারা কোরানের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর ঘুমটা দিয়েছিলেন অর্থাৎ চেহারা ঢেকেছিলেন। কিন্তু কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবির আহকামুল কুরআনে বলা হয়েছেঃ- "জাইব" হচ্ছে গলা ও বুক এবং "খিমার" হচ্ছে যা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়( আহকামুল কোরআন, 3 খন্ড)। প্রখ্যাত এরাবিয়ান গবেষক আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ তার "রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা " কিতাবে বলেনঃ- হাফেজ ইবনে হাজার এর উচ্চ মূল্যায়ন সত্ত্বেও আমাদের দৃষ্টিতে তার এ কথা সঠিক নয়। কেননা "খিমার" অর্থ আরবি ভাষার তাফসীর ও ফিকহের কিতাবে যা প্রসিদ্ধ, তা হল মাথা ঢেকে রাখা। তা থেকে এর অর্থ দাঁড়ায় মাথা ঢেকে রাখা এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহ এই নিশ্চয়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি তাঁর কিতাবে কতগুলো হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত হাদিস থেকে আমি মাত্র একটি হাদিস নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। (১) বেলাল( রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূল( সঃ) মোজা ও মাথার উপর পড়া রুমালের (খিমার) উপর মাসেহ করলেন ( সহিঃ মুসলিম)। (Ref:-. রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা। byঃ- আব্দুল হালিম আবু সুককাহ। ৪ খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা) সূরা আজাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে স্বাধীন মহিলা এবং দাসীদের সতরের পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে চেহারা ও হাতের কব্জি খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। --------------------------------------------------------- ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
jakir vai... আগে কোরাঅান সম্পর্কে কিছু জনেনে তারপর হাদিস সম্পর্কে জানেন তারপর আসেন কমেন্ট করতে,,, সুরা নুরের ৩১ নাম্বার আয়াতে পর্দা সম্পর্কে আলোচনা আছে।। পড়ে আসেন তারপর কমেন্ট করবেন,,,# মূর্খদের মতো কমেন্ট করবেননা।।। আর আয়াত না বুঝলে হাদিস ও আছে,,
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
(২) মহান আল্লাহ তাআলা মুমিন পুরুষগনকে তাদের চক্ষুকে সংযত করার নির্দেশ দিয়েছেন( নূর- ৩০)। বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে আমি সংক্ষেপে বলবোঃ মুমিন পুরুষেরা চক্ষু সংযত করবে কাল ভূত থেকে, নাকি অশরীরী আত্মা থেকে? মহান আল্লাহ মুমিন নারীদেরকে তাদের চক্ষুকে সংযত করার নির্দেশ দিয়েছেন( নূর-৩১) এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুরুষের চেহারা ঢাকা কি সম্ভব? (খ) মহান আল্লাহ রসুল( সঃ) লক্ষ্য করে বলেনঃ এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে (আহযাব-52)। আল যাসসাস( রঃ) তার তাফসীর গ্রন্থে আয়াতটি উল্লেখ করে বলেনঃ তাদের সৌন্দর্য অভিভূত হতে হলে অবশ্যই তাদের চেহারা দেখতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে তিনি চেহারা খোলা রাখার পক্ষে দলিল পেশ করেন। (সূরা নূরের- 31 নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা) ( গ) হাদিসঃ জাবের( রাঃ) থেকে বর্ণিত।রসুল( সঃ) একজন মহিলাকে দেখলেন। আহমদের এক বর্ণনায় রসুল( সঃ) একজন নারীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যয়নব( রাঃ) নিকট ফিরে এলেন। জয়নাব( রাঃ) সে সময়ে তার জন্য এক টুকরা চামড়া পাকা করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। একটু পর রসূল( সঃ) তার প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতপর সাহাবাদের নিকট ফিরে এসে বললেনঃ নারীরা শয়তানের ছবি ধারণ করে সামনে আসে এবং শয়তানের ছবি ধারণ করে ফিরে যায়। তোমরা যদি কোন নারীকে এমন দেখো, তাহলে তোমাদের স্ত্রীর নিকট ফিরে যাও। এটা তোমাদের অন্তরকে নিবৃত করবে( সহিঃ মুসলিম, নিকা অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কোন নারীকে দেখে, অতঃপর তার অন্তরে কামনার উদ্ভব হয়, তখন তার স্ত্রী বা দাসীর নিকট ফিরে আসা মুস্তাহাব, ৪ খন্ড)। এসকল ঘটনা সংঘটিত হয় মহান আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে, যাতে উম্মতকে শিক্ষা দেয়া যায়। ( ঘ) হাদীসঃ জাবের( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলকে( সঃ) বলতে শুনেছি, তোমাদের কাউকে যদি কোন নারীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে এবং তার মনকে প্রলুব্ধ করে, তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট ফিরে আসে এবং তার প্রয়োজন পূরণ করে । এটা তার অন্তরকে নিবৃত্ত করবে (সহিঃ মুসলিম, নিকা অধ্যায় অনুচ্ছেদ,- ঐ-, ৪ খন্ড)। আপনি যদি কোন সুন্দরী মহিলাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং কামভাব উদয় হয়, তবে আপনি আপনার স্ত্রীর নিকট ফিরে এসে প্রয়োজন পূরণ করুন। এতে একটি সুন্নত পালন করা হবে। (ঙ) মহান আল্লাহ বলেনঃ স্ত্রীলোকদের নিকট তোমরা ইঙ্গিতে বিবাহের প্রস্তাব করলে অথবা তা তোমাদের অন্তরে গোপন রাখলে তোমাদের কোন পাপ হবে না (বাকারা- ২৩৫ নং আয়াত) এখানে প্রশ্ন হলো, ইঙ্গিতে প্রস্তাব দিবে কিভাবে? চেহারা তো ঢাকা। (চ) মহান আল্লাহ বলেন, "তাকওয়ার পোশাকই উত্তম পোশাক" ( আরাফ-২৬)। আমরা এই তাকওয়াকে পাশ কাটিয়ে মহিলাদের চেহারা ঢাকা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত আছি। 🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐 মহান আল্লাহতালা মানুষকে 24 ঘন্টা পরীক্ষার মধ্যে রেখেছেন । এই পরীক্ষার হল থেকে পলায়ন করে আপনি পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না। হাদিসঃ ইবনে আব্বাস( রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রা( রাঃ) নবী( সঃ) এর বরাত দিয়ে যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, আমি তার মোকাবেলায় সগীরা গুনার সাথে সামঞ্জস্যশীল আর কোন জিনিস দেখি নি। নবী( সঃ) বলেছেন, আল্লাহ বনি আদমের জন্য জিনার মধ্য থেকে তার অংশ লিখে দিয়েছেন। সে অবশ্যই তার মুখোমুখি হবে। কাজেই চোখের যিনা হচ্ছে দেখা। জিব্বার যিনা হচ্ছে কথা বলা। অন্তরের জিনা হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা ও কামনা করা। আর লজ্জাস্থান এই সব কিছুকে সত্যায়িত করে (যদি সত্য সত্য যিনা করে ফেলে) অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে (যদি জিনা না করে) (সহী বুখারী, অনুমতি চাওয়া অধ্যায়, 13 খন্ড। সহী মুসলিম, তকদির অধ্যায়, 8 খন্ড)। হাদীসটি থেকে বুঝা যায় যীনার পূর্বে বর্ণিত ঘটনা গুলো ছোট ছোট গুনাহ। যিনা না করলে যার কোনো সাক্ষী থাকে না।অবশ্য কামভাব নিয়ে তাকানো হারাম, যা যীনার দিকে ধাবিত করে। মহান আল্লাহ বলেনঃ "আর যারা সৎ কাজ করে তাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার। যারা বিরত থাকে গুরুতর ও অশ্লীল কাজ থেকে, তবে ছোট খাটো অপরাধ ভিন্ন। তোমার প্রতিপালকের ক্ষমা অপরিসীম। (সূরা আন নাজম-31, 32) #হাদীসঃ মুমিন বান্দা যখন অজু করে তার চেহারা ধয়, তখন সে তার দুই চোখ দিয়ে যে অবৈধ দৃশ্য দেখে যে সব গুনা করেছিল তার সমস্ত গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ধুয়ে বের হয়ে যায় ( সহী মুসলিম, তাহারাত অধ্যায়, 1 খন্ড)।
@@aflhbbkh2495 মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে? মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না। (১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
(৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়। এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে? ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত) ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না। # হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ) # হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড) ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে। ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত। # ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)। বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। # হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা) # ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা) # কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@foridhossain5675 রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
(১) হিজাব ফরজ ছিল উম্মুল মোমেনিনদের জন্য নির্দিষ্ট। সাধারণ মোমেন নারীর জন্য হিজাব ফরজ ছিল না। তাদের সতর ঢাকা ফরজ। ~~~~~~~~~~~`~~~~~ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)। তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
১( খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) হযরত সালেম( রাঃ) এর সাথে পর্দা করতেন না। কারণ হযরত সালেহ( রা) গোলাম ছিলেন এবং গোলামের সাথে পর্দা করা উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য ফরয ছিলনা। একদিন তিনি (সালেম) হযরত আয়েশাকে( রা) এসে জানালেন যে, আল্লাহ পাক তাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। এ খবর শোনার সাথে সাথে হযরত আয়েশা( রাঃ) তাকে ধন্যবাদ জানালেন এবং পর্দা করলেন। হযরত সালেম( রাঃ) বলেন ঐদিনের পর থেকে আমি আর কোনদিন হযরত আয়েশাকে( রাঃ) দেখিনি ( মেশকাত শরীফ)। (খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুজাইফার আযাদকৃত দাস সালেম( রাঃ) আবু হুজাইফা ও তার পরিবার পরিজনের সাথে তাদের বাড়িতে থাকতেন। সোহায়েলের কন্যা( আবু হুজাইফার স্ত্রী) নবীর( সঃ) এর কাছে এসে বলল, সালেম প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে আমাদের মাঝে যাতায়াত করে। আমার মনে হয়, আবু হুজাইফা এ ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না। রাসূল( সঃ) বললেন তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুজাইফার মনে যে সংশয় রয়েছে তার দূরীভূত হয়ে যাবে। সোহায়েলের কন্যা পরে এসে রাসুলকে ( সঃ) বলল, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি এবং আবু হুজাইফার মনের সংশয় দূরীভূত হয়েছে (সহিঃ মুসলিম, দুধ পান করানো অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ বয়স্কদের দুধ পান করানো, ৪ খন্ড)। দুটি ঘটনায়ই হিজাবের পরের ঘটনা। সালেম( রাঃ) স্বাধীন হওয়ার পর মা আয়েশা( রাঃ) যেখানে তার থেকে তৎক্ষণাৎ পর্দা করেন এবং জীবনে আর কখনো সালেম( রাঃ) আয়েশাকে( রাঃ) দেখেননি সেখানে সোহায়েলের কন্যার গৃহে সালেমের( রাঃ) অবাধ যাতায়াত ছিল । দুধ পানকরানোর উদ্দেশ্য আবু হুজায়ফার সন্দেহ দূর করা। এর অতিরিক্ত কিছু নয়। হযরত সালেহ( রাঃ) এর মর্যাদা সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসূল( সঃ) যে চারজন সাহাবী থেকে কোরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, তন্মধ্যে হযরত সালেম( রা) এর নাম দুই নম্বরে আছে (বোখারী)। হাদীস দুটো থেকে উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা এবং সাধারণ মোমেন নারীর পর্দার পার্থক্য স্পষ্ট।
রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
(৬) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়। এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে? ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত) ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না। # হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ) # হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড) ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে। হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে। ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত। # ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)। বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। # হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা) # ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা) # কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে? মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না। (১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
@@Agro977 উনিকে ফতোয়া দিয়েছেন পারসনালী না মাহফিলে। সহজে আজহারী হুজুরের (আল্লাহ উনাকে উত্তম বদলা দান করুন) এই ফতোয়াই ভুল আছে তাই তারা ভুল ধরেছেন তাই বলে উনারা খারাপ হয়ে গেছেন। মুখমণ্ডল আসল ইহা ঢেকে রাখতে হবে।
@@mahamodulhasanshagor6531 রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে? মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না। (১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
*_বাংলার জমিনে এজনই আলেম ছিলেন, যার মাহফিল নিয়ে কোনো বিতর্ক নাই। (আল্লামা সাইদী)_*
Sayedee boro bitorkito....bokta
ভাই সাইদী হুজুরও কিন্তু বলছিলো নবী অক্ষর জ্ঞান জানা ছিলো না,,কিন্তু দঃখের বিষয় তখন এতো মিডিয়া ছিলো না,, তাই হয়তো কোন বিতর্ক হয় নি,, তবে শ্রেষ্ঠ তাফসির কারক ছিলেন।।
@@mamunchowdhury1423 ji ei kotha sotto je nobir okkhor gean chilo na.nobir jodi okkhor gean thakto tahole kafer ra bolto qur-an srishtikorter bani noi,nobiji nije theke eishob bolchen.tobe okkhor gean nei mane ei noi nobiji murkho
আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না,, আমি বর্তমান অবস্থার কথা বলছি,, এখন যদি কোন বক্তা সামান্য ভুল করে সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যায়,,
@@mamunchowdhury1423 oh!! ji bujte parchi
আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের সকলকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন।
Amin
আমিন
Àllahumma Ameen
জনাব অাজহারি সাহেব!
একটু ক্লিয়ার করবেন অাসলে অাপনি কি জামাতে ইসলামির কোন সদস্য..?
প্লিজ কোন বদগুমান করবেন না
শুধু একটা সন্দেহ দূর করার জন্যই প্রশ্নটা করেছি।
কেন লুচ্চারা মাইকের আওয়াজ ঢুকেনা
আল্লাহ পাক মুফতি মাওলানা আমির হামযা ভাই কে কবুল করুন
Golam Rabbani Official আমিন
গাধা তুমি কুন মেসিন দিয়ে দেখবে কার মনে খারাফ খিয়াল আসবে না
*আসসালামু আলাইকুম হুজুর*
Golam Rabbani Official hhmmm
Amin
অনেক সুন্দর আলোচনা .আল্লাহ সবাই কে সঠিক ভাবে ইসলাম বুঝার তৌফিক দেন করুন ..
মাশআল্লাহ আমির হামজা হুজুর কোরআন হাদিস থেকে সুন্দর কথা বলেন। আল্লাহ তুমি আমির হামজা হুজুর কে কবুল করুন। আমিন
বাংলাদেশের কোরআন গবেষণার মুফতী আমির হামজা। সব সময় হক ও সঠিক কথা বলে আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামি ছহি ও সঠিক বুঝ দান কর আমীন
আমির হামজা সাহেব খুব সুন্দর আলোচনা করেন আলহামদুলিল্লাহ।। মিজানুর রহমান আল আজহারী সাহেব খুব সুন্দর ওয়াজ করেন আলহামদুলিল্লাহ।
তোকে জুতা মারা উচিত
তোকে জুতা মারা উচিত
@@mdkaouser6358 আমি তোকে গালি দিতাম না। এখন দিবো কারণ তুই বিনা দুষে আমাকে গালি দিছত,, তুকে লাথি দিলাম তুকে জুতার মাঝে পায়খানা লাগিয়ে বাড়ি দিলাম। তোর গালি তোর মুখে মারলাম।
Kaosar akta bedop
@@jubaerahmed1270ঠিক বলেছেন ভাই
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে আসলে সবার বুঝে আসবে ইনশাল্লাহ
আমি প্রথম ভিউয়ার এই ভিডিওর
আর দেখিয়েন না ওরা জামায়েত ইসলামের দালাল
তাহলে কি তোমাদের মতো পীর পূজারী হবে??
@@tachnew2467
না জেনে আন্দাজে অন্যকে দোষারোপ, অপবাদ অথবা খারাপ মন্তব্য করা যে কবীরা গুনাহ তা কি জানেন ??
মুফতি আমির হামজা হুজুর সঠিক কথা বলে এইজন্য ওনাকে আমি ইসলামের জন্য ভালোবাসি হুজুর আপনি হক কথা বলেন আপনার পাশে আছি আমরা
Authentic reliable speech
মুফতি আমির হামজা হক কথা গুলো বলেছেন
আমির হামজা ইতিহাসের সেরা বক্তা, এগিয়ে জান হুজুর ইসলামের
Khub vlo laglo hujur
১০০ তে ১০০ হুজুরের কথা মিজানুর রহমান আজহারী সাহেবের সাথে মিল,,,
আলহামদুলিল্লাহ,,,মুফতী আমীর হামজা, মিজানুর রহমান আজহারী আপনাদের দ্বারাই আল্লাহ যেন সবাই কে দ্বীনের সহী বুঝ দান করে।
(আমিন)
যে নিজেই গোমরা সে কীভাবে অন্যকে সঠিক পথ দেখাবে।
এনারা দুজনই আমার প্রিয় হুজুর পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সুরা হতেই তথ্য উপাত্ত প্রমান সহকারে শতভাগ সঠিক সত্য বিষয়েগুলি ওয়াজ বয়ান করে অত্যন্ত প্রাণবন্ত চমৎকার সুন্দর করে গুছিয়ে খুবই সহজ করে বুঝিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে আপনারা কি আমার সাথে একমত ?
@@sunnahmedia4713 ওরা নিজেরা গোমরা হইলে তোমার বাবাজান দাদজান জাহাজে করে জান্নাতে নিয়ে যাইবো ওরাই ঠিক যত সব ভন্ড পীরের মুরিদ ভন্ড পীর দেশটারে ধ্বংস কইরা লাইছে
@@sunnahmedia4713 মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@sunnahmedia4713 ১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
Thanku very nice waz thanku
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলছেন
Thank amir hamja hujur
যুগোপযোগী আলোচনায় আমির হামজা সাহেব এগিয়ে আছেন। মানুষের কল্যাণের জন্য ওনার জন্য দোয়া করছি।
হুম মিজানুর রাহমান হুজুরের কথাও বলতে হবে হু।আমির হামজা প্রিয় হুজুর আমার আমিন
জি,,,,, ওনার ওয়াজের আকর্ষণেই তো আমরা আপনাকে দেখতে পেলাম,,,, মা, শা, আল্লাহ,,,, আপনি সুন্দর আছেন
Ariful Hasan ওরে শয়তান
হুম মিজানুর রহমান সাহেব এর পতুয়ার কারনে আজ আপনাকে দেখার সৌভাগ্য হলো..,
মাশাআল্লাহ আল্লাহর কুদরত..।
@@arifulhasan2471 hahahaha
হুজুর আপনাকে আল্লাহ কবুল করুন আমিন
আমির হামজা সাহেব সঠিক কথা বলেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
মেয়েদের চেহারাটাই মেইন এটা যদি দেখাই রাখে তাহলেত সবাই পরদাসিন ।
bal bolche
কেউ খারাপ কমেন্ট করবেন না।
আমার কমেন্টে এসে বাঝে মন্তব্য করবেন না।
প্রিয় দ্বীনি ভাই!আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন প্লিজ৷
*মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা। Muslims Tv Bangladesh এর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ।*
হুজুর সঠিক কথা বলচে,,,,
ভাদাইমা আমির হামজা মোটা মোটা মের কথা বল
খুব ভালো এক জন বক্তা হক কথা
মিজানুর রহমান আজহারীর এবং আমীর হামজা সঠিক কথা বলেছেন
Alhamdulillah.osadaron bollen hujur
আমির হামজা হুজুর সঠিক কথা বলছে।
হুজুরের কথাগুলো খুবই সুন্দর।।।।
আমির হামজা রাইট কথা বলছেন
কোরআনের দৃষ্টিতে ভুলফতুয়া
কিছু বোঝে না
তুমি কিভাবে বুঝলা রাইট?
গোমরা হয়ে গেছো
@@hossainahmad1145 (৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়।
এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে?
ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত)
ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না।
# হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ)
# হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড)
ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে।
কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে।
ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত।
# ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)।
বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।
# হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা)
# ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা)
# কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
আল্লাহ তুমি হুজুর কে নেক হায়াত বাড়িয়ে দাও আমিন।
আল্লাহ্ আমির হামজা হুজুরকে নেক হায়াত দান করেন
Mashallah
হুজুরের ওয়াজ শুনতে মন চায়,,,
কেনো, হুযুরের বউ দেখতে মন চায় না
Allah amather sothik buj dan koruk amin....ajhari bhai amather musolmanther pran priyo manus
আমির হামজা সঠিক কথাই বলছেন
মাসাল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন হুজুর আপনি
আলহামদুলিল্লাহ্ সুন্দর কথা বলেছেন মুহতারাম
Assalamualaikum
"আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন,
বিষয়ই গোপন নেই।
❤️(সূরা আল ইমরান,আয়াত-০৫)❤️
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন,
এবং হেদায়েত দান করুন, আমিন, জাযাকাল্লাহ খায়ের,
আল্লাহ গো আমি তোমার দেশ ভারতের একটি কোন থেকে ফরিয়াদ করছি আমি মুর্খ
তবে আমার মনে হয় আল্লামা সাঈদির মতো খুব কমই আলেম আপনি সৃষ্টি করেছেন
এনাকে আর একবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও গো আল্লাহ
Amir Hamja sir agun
রাইট হুজুর চালিয়ে যান আমরা
সাথে আছি,,
আমির হামজা ইসলামের পথে খুব সুন্দর কথা
আপ্নার মতে এক মত হতে পারলাম না,,, হাফিজুর রহ্মানের টাই ঠিক,,
সত্ত কথা বলেছেন
Amir hamza thik bolce
মিজানুর রহমান আজহারী,আমির হামজা দুজনেই এক ফ্রেমে বাধা
প্রিয় বক্তা ❤❤
Sundor boyan khub valo laglo
লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর
আমাদের কুষ্টিয়ার গর্ভ
ফাইন ফাইন
Alhamdulillah onk shundor kore bujiyechen hujar.....
Masallah.
এই আমির হামজা দেলাওয়ার সাইদীর ওয়াজ শুনিশ
বিশেষ করে শীতকালে হুজুরদের বেশি মাহফিলের জোয়ার বয়
পর্দা করলে পরিপূর্ণ পর্দা করো।
টাইটফিট বোরকা পরে অযথা পর্দার সম্মান নষ্ট করোনা।
(১) হিজাব ফরজ ছিল উম্মুল মোমেনিনদের জন্য নির্দিষ্ট। সাধারণ মোমেন নারীর জন্য হিজাব ফরজ ছিল না। তাদের সতর ঢাকা ফরজ।
~~~~~~~~~~~`~~~~~
হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
Mizanur rahoman,amir hamza best of Bangladesh
আলহামদুলিল্লাহ
Hujur akdom right kotha boltece
Mashaallah.
আমির হামজা কে অনেক ভালোবাসি
Fabulous discussion by amir hamza hozor.
LOVE YOU BOSS LOVE YOU
👌👌👌
ঠিক বলছেন
Amin
আলহামদুলিল্লাহ আমি ও,আমির হামজা, ভাইয়ের সাথে একমত , আল্লাহ পাক উনার নেক হায়াত দান করুন আমীন
বুঝে না, না বুঝে
@@sunnahmedia4713 মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
Thx hozor
আপনার কথা অনুযায়ী মেয়েরা টাইট ফিট পোশাক পরবে
কারন শরিল তো ঢাকা আছে তাদের
Tight fit jama bolse naki ,chagol ,
(৭) সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, " লা ইউবদিনা যীনাতাহুন্না ইল্লা মা যহরা মিনহা "।
অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)।
" যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য।
সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ।
" যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা।
সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন।
অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী।
"অলাইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা যুয়ুবিহিন্না "।
আর তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে।
উরওয়া থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা( রাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রথম হিজরত কারিনী মহিলাদের প্রতি দয়া করেছেন। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন তারা তাদের সেলাইবিহীন কাপড় দু ভাগ করে তার সাহায্যে মাথা ডেকে নেয়। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তাদের চাদর নিয়ে লম্বার দিক থেকে দু ভাগ করে একভাগ দিয়ে মাথা ঢেকে নেয় (সহি বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা নূর)।
হাফেজ ইবনে হাজার রঃ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম হিজরত কাহিনী মহিলারা কোরানের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর ঘুমটা দিয়েছিলেন অর্থাৎ চেহারা ঢেকেছিলেন।
কিন্তু কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবির আহকামুল কুরআনে বলা হয়েছেঃ-
"জাইব" হচ্ছে গলা ও বুক এবং "খিমার" হচ্ছে যা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়( আহকামুল কোরআন, 3 খন্ড)।
প্রখ্যাত এরাবিয়ান গবেষক আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ তার "রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা " কিতাবে বলেনঃ-
হাফেজ ইবনে হাজার এর উচ্চ মূল্যায়ন সত্ত্বেও আমাদের দৃষ্টিতে তার এ কথা সঠিক নয়। কেননা "খিমার" অর্থ আরবি ভাষার তাফসীর ও ফিকহের কিতাবে যা প্রসিদ্ধ, তা হল মাথা ঢেকে রাখা। তা থেকে এর অর্থ দাঁড়ায় মাথা ঢেকে রাখা এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহ এই নিশ্চয়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি তাঁর কিতাবে কতগুলো হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত হাদিস থেকে আমি মাত্র একটি হাদিস নিচে লিপিবদ্ধ করলাম।
(১) বেলাল( রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূল( সঃ) মোজা ও মাথার উপর পড়া রুমালের (খিমার) উপর মাসেহ করলেন ( সহিঃ মুসলিম)।
(Ref:-. রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা।
byঃ- আব্দুল হালিম আবু সুককাহ।
৪ খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)
সূরা আজাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে স্বাধীন মহিলা এবং দাসীদের সতরের পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে চেহারা ও হাতের কব্জি খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
---------------------------------------------------------
ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)।
মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)।
ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে?
ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা।
ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
মুখ খোলা রাখা যাবে ,হাত পা খোলা রাখা যাবে , তাহলে পর্দার দরকার কি,? ভন্ডামি ছাড়েন ।
পর্দার নিয়ম জানেন? মহিলাদের জন্য মুখমণ্ডল হাতের কব্জি পায়ের পাতা খোলা রাখলে পাপ নাই তবে ঢাকা ভাল
oi mia,,,jakir,,,, shala tui masla na jene kotha bolish kno
jakir vai... আগে কোরাঅান সম্পর্কে কিছু জনেনে তারপর হাদিস সম্পর্কে জানেন তারপর আসেন কমেন্ট করতে,,, সুরা নুরের ৩১ নাম্বার আয়াতে পর্দা সম্পর্কে আলোচনা আছে।। পড়ে আসেন তারপর কমেন্ট করবেন,,,# মূর্খদের মতো কমেন্ট করবেননা।।। আর আয়াত না বুঝলে হাদিস ও আছে,,
J সাবেক বড় মাওলানা
আপনাদেরকে আর কি করে বুঝালে আপনারা বুঝবেন আল্লাহ জানে
Prio mufassir love from Assam
আমির হামজা সাহেব খুব সুন্দর করে গ্যানের কথা বলেন, আললাহ আপনাকে হেফাজত করুন
জি,,,, আপনার "" গ্যানের ""জ্ঞানলব্ধ বানান টাও খুব সুন্দর,,,!
মুখ মন্ডল তো সৌন্দর্যের রাজধানী....
সেখানে মুখ দর্শনে যেনা হওয়ার সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেয়া যায় না!
Right
রাজধানীর দিকে তাকিয়ে না কারণ আল্লাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখতে বলেছেন
ভাই,মুখ ই সমস্ত বডিকে রিপ্রেজেন্ট করে।তাই,মুখ ঢেকে রাখতে হবে
আপনার চেহারা ও অসৌন্দর্যের রাজধানী। ঢাকের না কেন?
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
Masallah
ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিঃ)ও বলেছেন মহিলারা পুরুষদের দেখতে পারবে।
বাংলার সেরা আলেম
১০০% সত্য
Awesome 😍
ভাই সমাজ নষটো হওয়ার জন্য এ ওয়াজ ভালো
রাইট
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
(২) মহান আল্লাহ তাআলা মুমিন পুরুষগনকে তাদের চক্ষুকে সংযত করার নির্দেশ দিয়েছেন( নূর- ৩০)।
বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে আমি সংক্ষেপে বলবোঃ মুমিন পুরুষেরা চক্ষু সংযত করবে কাল ভূত থেকে, নাকি অশরীরী আত্মা থেকে?
মহান আল্লাহ মুমিন নারীদেরকে তাদের চক্ষুকে সংযত করার নির্দেশ দিয়েছেন( নূর-৩১) এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুরুষের চেহারা ঢাকা কি সম্ভব?
(খ) মহান আল্লাহ রসুল( সঃ) লক্ষ্য করে বলেনঃ এরপর তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয়, যদিও তাদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে (আহযাব-52)।
আল যাসসাস( রঃ) তার তাফসীর গ্রন্থে আয়াতটি উল্লেখ করে বলেনঃ তাদের সৌন্দর্য অভিভূত হতে হলে অবশ্যই তাদের চেহারা দেখতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে তিনি চেহারা খোলা রাখার পক্ষে দলিল পেশ করেন। (সূরা নূরের- 31 নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা)
( গ) হাদিসঃ জাবের( রাঃ) থেকে বর্ণিত।রসুল( সঃ) একজন মহিলাকে দেখলেন। আহমদের এক বর্ণনায় রসুল( সঃ) একজন নারীকে দেখে মুগ্ধ হলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যয়নব( রাঃ) নিকট ফিরে এলেন। জয়নাব( রাঃ) সে সময়ে তার জন্য এক টুকরা চামড়া পাকা করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। একটু পর রসূল( সঃ) তার প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতপর সাহাবাদের নিকট ফিরে এসে বললেনঃ নারীরা শয়তানের ছবি ধারণ করে সামনে আসে এবং শয়তানের ছবি ধারণ করে ফিরে যায়। তোমরা যদি কোন নারীকে এমন দেখো, তাহলে তোমাদের স্ত্রীর নিকট ফিরে যাও। এটা তোমাদের অন্তরকে নিবৃত করবে( সহিঃ মুসলিম, নিকা অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি কোন নারীকে দেখে, অতঃপর তার অন্তরে কামনার উদ্ভব হয়, তখন তার স্ত্রী বা দাসীর নিকট ফিরে আসা মুস্তাহাব, ৪ খন্ড)।
এসকল ঘটনা সংঘটিত হয় মহান আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে, যাতে উম্মতকে শিক্ষা দেয়া যায়।
( ঘ) হাদীসঃ জাবের( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলকে( সঃ) বলতে শুনেছি, তোমাদের কাউকে যদি কোন নারীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে এবং তার মনকে প্রলুব্ধ করে, তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট ফিরে আসে এবং তার প্রয়োজন পূরণ করে । এটা তার অন্তরকে নিবৃত্ত করবে (সহিঃ মুসলিম, নিকা অধ্যায় অনুচ্ছেদ,- ঐ-, ৪ খন্ড)।
আপনি যদি কোন সুন্দরী মহিলাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং কামভাব উদয় হয়, তবে আপনি আপনার স্ত্রীর নিকট ফিরে এসে প্রয়োজন পূরণ করুন। এতে একটি সুন্নত পালন করা হবে।
(ঙ) মহান আল্লাহ বলেনঃ স্ত্রীলোকদের নিকট তোমরা ইঙ্গিতে বিবাহের প্রস্তাব করলে অথবা তা তোমাদের অন্তরে গোপন রাখলে তোমাদের কোন পাপ হবে না (বাকারা- ২৩৫ নং আয়াত)
এখানে প্রশ্ন হলো, ইঙ্গিতে প্রস্তাব দিবে কিভাবে? চেহারা তো ঢাকা।
(চ) মহান আল্লাহ বলেন, "তাকওয়ার পোশাকই উত্তম পোশাক" ( আরাফ-২৬)।
আমরা এই তাকওয়াকে পাশ কাটিয়ে মহিলাদের চেহারা ঢাকা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত আছি।
🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐🏐
মহান আল্লাহতালা মানুষকে 24 ঘন্টা পরীক্ষার মধ্যে রেখেছেন । এই পরীক্ষার হল থেকে পলায়ন করে আপনি পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না।
হাদিসঃ ইবনে আব্বাস( রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রা( রাঃ) নবী( সঃ) এর বরাত দিয়ে যে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, আমি তার মোকাবেলায় সগীরা গুনার সাথে সামঞ্জস্যশীল আর কোন জিনিস দেখি নি। নবী( সঃ) বলেছেন, আল্লাহ বনি আদমের জন্য জিনার মধ্য থেকে তার অংশ লিখে দিয়েছেন। সে অবশ্যই তার মুখোমুখি হবে। কাজেই চোখের যিনা হচ্ছে দেখা। জিব্বার যিনা হচ্ছে কথা বলা। অন্তরের জিনা হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা ও কামনা করা। আর লজ্জাস্থান এই সব কিছুকে সত্যায়িত করে (যদি সত্য সত্য যিনা করে ফেলে) অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে (যদি জিনা না করে) (সহী বুখারী, অনুমতি চাওয়া অধ্যায়, 13 খন্ড। সহী মুসলিম, তকদির অধ্যায়, 8 খন্ড)।
হাদীসটি থেকে বুঝা যায় যীনার পূর্বে বর্ণিত ঘটনা গুলো ছোট ছোট গুনাহ। যিনা না করলে যার কোনো সাক্ষী থাকে না।অবশ্য কামভাব নিয়ে তাকানো হারাম, যা যীনার দিকে ধাবিত করে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ "আর যারা সৎ কাজ করে তাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার। যারা বিরত থাকে গুরুতর ও অশ্লীল কাজ থেকে, তবে ছোট খাটো অপরাধ ভিন্ন। তোমার প্রতিপালকের ক্ষমা অপরিসীম। (সূরা আন নাজম-31, 32)
#হাদীসঃ মুমিন বান্দা যখন অজু করে তার চেহারা ধয়, তখন সে তার দুই চোখ দিয়ে যে অবৈধ দৃশ্য দেখে যে সব গুনা করেছিল তার সমস্ত গুনাহ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ধুয়ে বের হয়ে যায় ( সহী মুসলিম, তাহারাত অধ্যায়, 1 খন্ড)।
@@aflhbbkh2495 মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)।
মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)।
ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে?
ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা।
ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না।
(১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
#(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)।
#(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা)
মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
জাযাকাল্লাহু খাইরান ওয়া আহসানুল জাযা প্রিয় মুহতারাম।
তুমার বউকে দিয়ে আমাদের সামনে ওয়াজ করায়েন,আমাদের অন্তর ভাল
আমির হামজা হুজুর ও মিজানুর রহমান হজুরের কথা রাইট ভূয়া পিরের কথা কি বন্দুরা আপনারাই বলুন
Allah tomi amir hamja hujor nek hayeit Dan korun amin
আমির হামযা ভাই আরো একটু কোরান হদিস পডেন পদার বিষয়
Tora too hafijur rahmaner moto vondor puja koris
মিজান ভাই অন্য জনের ভুল ধরার আগে আপনি আগে শুদ্ধ করে বাংলা লিখতে শিখুন। ক লিখতে যার কলম ভাঙ্গে সে আসছে আমির হামজা সাহেবের ভুল ধরতে😂😂😂
সব ভালো হুজুরের ফতুয়া ই এটা
Masaahlla
খুব সুন্দর আলোচনা
মুখ খোলা রেখে পদা করা মানি জানালা বন্ধ করে দরজা খোলা রেখে ঘুমানোর মতই......
ঠীক
রাইট
(৪) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়।
এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে?
ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত)
ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না।
# হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ)
# হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড)
ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে।
কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে।
ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত।
# ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)।
বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।
# হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা)
# ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা)
# কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা।
(১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল।
(২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল।
(৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)।
হাদীসটি শক্তিশালী।
আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না।
ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)।
মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা)
তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ--
(১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ)
(৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন)
যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)।
কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না।
এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না।
ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@@foridhossain5675 রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে?
ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট।
(১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)
এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়।
(২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)।
(৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)।
বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে।
(৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)।
মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
Assalamu alikum hozor
মাশাআল্লাহ খুব চমৎকার ভাবে বুঝিয়ে দিলেন
আসলে চমৎকার আলোচনা
ফয়জুল করিমের বক্তব্যে দেখলাম কমেন্ট বক্স বন্ধ করে রাখা হয়েছে ভয়ে ꫰ যাতে কেউ গালিগালাজ না করে
Uni tho chormonai joint korar advertisement korlen.....
হুম ভাই।
আমিও কমেন্ট বক্স বন্ধ দেখেছি।
ভাই ফয়জুল করিমের ব্যাবসা বন্দের পথে
ভাই থাক গালাগালি করা দরকার নাই।
সত্য কথা সত্য কথা বলেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি নেয়ামত আজারি ভাই ও হামজা ভাই
মুখ যদি দেখা যায় তাহলে পর্দা হলো কিসের
১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম।
#(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২)
# (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
# অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে।
# এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি।
# অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ।
# আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড)
# ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) ।
# ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড)
# ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)।
# ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)।
# মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)।
# ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)।
# কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
# তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)।
# মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
(১) হিজাব ফরজ ছিল উম্মুল মোমেনিনদের জন্য নির্দিষ্ট। সাধারণ মোমেন নারীর জন্য হিজাব ফরজ ছিল না। তাদের সতর ঢাকা ফরজ।
~~~~~~~~~~~`~~~~~
হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ-
একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি।
# হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)।
তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)।
নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)।
নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন।
হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে।
সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)।
উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত।
নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)।
হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত।
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
১( খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) হযরত সালেম( রাঃ) এর সাথে পর্দা করতেন না। কারণ হযরত সালেহ( রা) গোলাম ছিলেন এবং গোলামের সাথে পর্দা করা উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য ফরয ছিলনা। একদিন তিনি (সালেম) হযরত আয়েশাকে( রা) এসে জানালেন যে, আল্লাহ পাক তাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। এ খবর শোনার সাথে সাথে হযরত আয়েশা( রাঃ) তাকে ধন্যবাদ জানালেন এবং পর্দা করলেন। হযরত সালেম( রাঃ) বলেন ঐদিনের পর থেকে আমি আর কোনদিন হযরত আয়েশাকে( রাঃ) দেখিনি ( মেশকাত শরীফ)।
(খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুজাইফার আযাদকৃত দাস সালেম( রাঃ) আবু হুজাইফা ও তার পরিবার পরিজনের সাথে তাদের বাড়িতে থাকতেন। সোহায়েলের কন্যা( আবু হুজাইফার স্ত্রী) নবীর( সঃ) এর কাছে এসে বলল, সালেম প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে আমাদের মাঝে যাতায়াত করে। আমার মনে হয়, আবু হুজাইফা এ ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না। রাসূল( সঃ) বললেন তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুজাইফার মনে যে সংশয় রয়েছে তার দূরীভূত হয়ে যাবে। সোহায়েলের কন্যা পরে এসে রাসুলকে ( সঃ) বলল, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি এবং আবু হুজাইফার মনের সংশয় দূরীভূত হয়েছে (সহিঃ মুসলিম, দুধ পান করানো অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ বয়স্কদের দুধ পান করানো, ৪ খন্ড)।
দুটি ঘটনায়ই হিজাবের পরের ঘটনা। সালেম( রাঃ) স্বাধীন হওয়ার পর মা আয়েশা( রাঃ) যেখানে তার থেকে তৎক্ষণাৎ পর্দা করেন এবং জীবনে আর কখনো সালেম( রাঃ) আয়েশাকে( রাঃ) দেখেননি সেখানে সোহায়েলের কন্যার গৃহে সালেমের( রাঃ) অবাধ যাতায়াত ছিল । দুধ পানকরানোর উদ্দেশ্য আবু হুজায়ফার সন্দেহ দূর করা। এর অতিরিক্ত কিছু নয়।
হযরত সালেহ( রাঃ) এর মর্যাদা সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসূল( সঃ) যে চারজন সাহাবী থেকে কোরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, তন্মধ্যে হযরত সালেম( রা) এর নাম দুই নম্বরে আছে (বোখারী)।
হাদীস দুটো থেকে উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা এবং সাধারণ মোমেন নারীর পর্দার পার্থক্য স্পষ্ট।
Mizanur Rahman is really great.
এরপর মহিলাদের সামনে বসে ওয়াজ করবেন,,,
কি বলতে চান
@@mdsaifulislam5955 dekhtei to passen ki bolte cassi....
Md Jowel Rana জামাতি চায় খুলা মেলা পরিবেশ।
@@sirajsiraj4173 thik bolcen vai...
রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে?
ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট।
(১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)
এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়।
(২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)।
(৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)।
বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে।
(৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)।
মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
(৬) সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে নবী আপনি আপনার বিবিগনকে এবং আপনার কন্যাদেরকে এবং অন্যান্য মুমিন নারীগণকে বলে দিন যে, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ তাদের নিজেদের উপর টেনে নেয় , যাতে তাদেরকে চিনতে পারা যায় এবং তাদের উত্যক্ত করা না হয়।
এখানে প্রশ্ন হল, চাদর টেনে নয়ারর অর্থ যদি চেহারা ঢাকা বুঝায়, তবে তাদেরকে চেনা যাবে কিভাবে?
ইমাম তাবারী( মৃত্যু- ৩১০) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, হে নবী তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুসলিম নারীদের বলো তারা যেন বাঁদীদের সদৃশ পোশাক না পরে। যাতে ফাসেকরা উত্যক্ত না করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে তাদের বিরক্ত না করে।( তাফসীরে তাবারী, সূরা আহযাব, 59 আয়াত)
ইমাম শাওকানী এবং ইমাম ওয়াহেদী অনুরূপ মন্তব্য করে বলেন, এই আয়াতে বাদী ও স্বাধীন মহিলার সতরের পার্থক্য করা হয়েছে।
হযরত ওমর( রাঃ) বাদীদের ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা দেখলে তাদের বেত্রাঘাত করতেন এবং বলতেন তোমরা স্বাধীন মহিলার রূপ ধারণ করবে না।
# হাদীসঃ উমর( রাঃ) জনৈক মহিলাকে ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখলেন। এই অবস্থা দেখে তাকে প্রশ্ন করলেন। তখন ওমরকে( রাঃ) বলা হল সে ক্রীতদাসী। তিনি বললেন, ক্রীতদাসীর পোশাক যেন তার গৃহকর্ত্রীর অনুরূপ না হয় (বাগবীর শরহে সুন্নাহে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, 2 খন্ড। বাইহাকী বলেন হাদীসটির আছার সমূহ বিশুদ্ধ)
# হাদীসঃ ওমর( রাঃ) আনাসের পরিবারের জনৈক দাসীকে বোরকা দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় দেখে তাকে বেত্রাঘাত করলেন। এবং বললেন, তুমি মাথা খোলা রাখ, স্বাধীন নারীদের আকৃতি ধারণ করো না। (ইবনে কুদামা, আল মুগনী, 1 খন্ড)
ওমরের( রাঃ) এই আচরণ ইমাম তাবারীর ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে।
হাদিস দুটো থেকে বুঝা যায়, দাসীরা মাথা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে। আর স্বাধীন মহিলারা চেহারা খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করবে।
কিছু সংখ্যক মহিলা এবং কিছু সংখ্যক পুরুষকে তাদের সতর ঢেকে আসতে বলা হলো। তারা নির্দেশ পালন করে আসলো এবং নারী-পুরুষের সতরের ভিন্নতা দেখা গেল। অনুরূপভাবে উম্মুল মুমিনীনদের জন্য হিজাব ফরয ছিল এবং সাধারণ মুমিন নারীর সতর ঢাকা ফরয ছিল। সুরা আহযাবের 59 নম্বর আয়াতে উম্মুল মুমিনীনদের চাদর টেনে নেয়া এবং মহিলা সাহাবীদের চাদর টেনে নেয়ার ভিন্নতা অবশ্যই থাকবে।
ইমাম মালেক বলেন, দাসীদের মাথা খোলা রেখে নামাজ পড়া সুন্নত।
# ইমাম মালেক (রঃ)এর মুয়াত্তা গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ইমাম মালেককে প্রশ্ন করা হয়ঃ নারীরা কি মুহরীম ছাড়া অন্য লোকদের অথবা তাদের দাসদের সাথে একত্রে আহার করতে পারে? তিনি উত্তর দেন, যদি মহিলাদের সাথে পুরুষের খাওয়ার প্রচলন থাকে তাহলে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ যদি তাদের পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি থাকে। ইমাম মালেক বলেনঃ নারী তার স্বামীর সাথে ওই সমস্ত লোক যাদের সাথে একত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা স্বামী করে থাকে তাদের সাথে খেতে পারে (আল মুয়াত্তা, 2 খন্ড, 935 পৃষ্ঠা)।
বলাবাহুল্য চেহারা ও হাতের কব্জি না খুলে কারো পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়।
# হানাফী মাযহাবের ইমাম আল মারগিনানী আল হেদায়া গ্রন্থে রয়েছে, রসূল ( সঃ) এর কথা অনুযায়ী স্বাধীন মহিলার চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সব টুকুই সতরের অংশ। নারীর সবকিছু সতর, তবে আপনা আপনি প্রকাশিত হওয়ার কারণে দুটি অঙ্গ বাদ রাখা হয়েছে( কামাল ইবনে হুমামের হেদায়ার শরহে ফাতহুল কাদির, 1 খন্ড 258 পৃষ্ঠা। 2 খন্ড, 242 পৃষ্ঠা)
# ইবনে বাত্তাল বলেন, সকলের ঐকমত্যে নারীর চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ নয়। নারী নামাজে চেহারা খোলা রাখতে পারে যদিও এই অবস্থায় কোন অপরিচিত জন বা কোন গায়রে মাহরাম তাকে দেখে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড, 245 পৃষ্ঠা)
# কাজী আয়ইজ রঃ বলেন, বিশেষভাবে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের চেহারা ঢেকে রাখা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। অন্য নারীদের ব্যাপারে মুস্তাহাব হওয়ার মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে( ফাতহুল বাড়ী, 13 খন্ড)।
হুজুরের ওয়াজ অনেক ভালো কিন্তু এই ফতুয়া আমি একমত না কারণ এই পর্দায় হলোপুরুষ পুরুষের জন্য আরনারী নারীর জন্য
ভালো করে শুনুন, বুঝুন,তারপর নাহয় মন্তব্য করুন।
মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)।
মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)।
ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে?
ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা।
ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না।
(১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
#(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)।
#(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা)
মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
দুজনেই ভালবাস করেন ওয়াজ করেন আলহামদুলিল্লাহ
আর এই চেনেল ওয়ালা কে বলছি, আলেমদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকবেই, এজন্য আপনি বন্ড লিখতে পারেন্না।
tai bole vaiya public place kno bolbe
faijul karim,hafizur rahman aro jara sarthennsi hujur royeche tader uchit personally contact koruk..
apnara jodi diner dai hoye thaken tahole kno apnara emon vabe somalochona korben???
@@Agro977 উনিকে ফতোয়া দিয়েছেন পারসনালী না মাহফিলে। সহজে আজহারী হুজুরের (আল্লাহ উনাকে উত্তম বদলা দান করুন) এই ফতোয়াই ভুল আছে তাই তারা ভুল ধরেছেন তাই বলে উনারা খারাপ হয়ে গেছেন। মুখমণ্ডল আসল ইহা ঢেকে রাখতে হবে।
bro amio amar bou k kokhono mukh daka chara ber korbo nah emon ki amader poribarer kew o mukh daka chara ber hoy nah..
but apni ki janen bro moddo praccher boro boro scholar rah mizanur rahman azharir motoi potoa dichhe..
islamer jatiyo sarthe eshb ektalap thaka bisoy niye kokhono emn kora tik nah..
ete kore nizeder modde oikker vangon hoy..ar eshb karonei aj musolmander ei obostha..
Nice.right.right.right
কি যে অবস্থা। এই হুজুররা ইসলাম টারে ভাগ করতাছে সাধারণ পাব্লিক কি করব। আল্লাহ তুমি সঠিক পথ চিনার ও আমল করার তৌফিক দান করুন।
সমস্যা আপনার ভেতরে, অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নাই!!!
@@ahnafiqbal9263 কেন ভাই আমার কি দোষ
জামাত হুজুর কয় একরম কোওমী হুজুর কয় এক রকম। আবার তাদের দুই জনই যুক্তি দিতে পারে।
@@mahamodulhasanshagor6531 রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে?
ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট।
(১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)
এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়।
(২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)।
(৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)।
বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে।
(৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)।
মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)।
মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)।
ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)।
এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে?
ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা।
ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না।
(১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা)
#(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)।
#(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা)
মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।