এটা monologue । তাই একচেটিয়া শুনে যাওয়াই কাজ। Dialogue হলে জানাতাম: ১. ৭৮আর.পি.এম. ডিস্কে ৩মি৩০সেকেন্ড অবধি রেকর্ডিং পরিসর থাকে। এটা নির্ভর করে ডিস্কের 'ungrooved space' র ওপর। বহু বাংলা আধুনিক গান ও রাগপ্রধান , ক্লাসিকাল কন্ঠ ও যন্ত্রসঙ্গীত ওই সময়দৈর্ঘেই রেকর্ড করা হয়েছে। ২.আবদুল করিম খান, কেশরবাঈ কেরকর, হীরাবাঈ বরোদেকর, নারায়নরাও ব্যাস প্রমুখদের সাড়ে চার মিনিটের খেয়াল ও ঠুংরি রেকর্ডস্হ হয়েছে দীর্ঘতর ব্যাসের ডিস্কে, ৭৮ স্পীডেই। ৩. "হে সখা মম হৃদয়ে রহো" রবীন্দ্রনাথের মৌলিক সৃষ্টি নয়। ও গানের সুর হিন্দি বন্দীশ "এ সখি, অব কৈসে করু" থেকে হুবহু নেওয়া। রাগ ছায়ানট, বিলাবল নয়। "মোরে বারে বারে ফিরালে'" গানটিও হিন্দি ভাঙা গান। রাগ কামোদ। ৪. তান, বোলতান, গমক, লয়কারি শাস্ত্রীয় খেয়ালের অঙ্গ। সুর বা স্বর বিস্তার সেরে এগুলো গায়করা করে থাকেন। তার জন্য কেউ "হিপোপটেমাস' হয়ে যান না। ক্লাসিকাল গানের শিল্পীদের caricature করাটা কুরুচিপূর্ণ ও অসহ্য। ৫. বক্তার so-called বাংলা খেয়াল সবই দেখছি মধ্য লয়ের একতাল ও তিনতালের। একটা ছিল রূপক তালে। আসলে অতি বিলম্বিত খেয়ালে বাংলা ভাষার প্রয়োগ একেবারেই বেমানান। তাই সে সব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বক্তা নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন যে উনি বিলম্বিত খেয়ালে আনাগ্রহী। তাহলে খেয়ালে ওনার আদৌ আসা কেন? একটা সুরপ্রধান শৈলিকে ভাষাপ্রধান করে তোলার জন্য এত ছেলেমানুষিই বা কিসের জন্য? ৬. ওনার So-called বাংলা খেয়াল কে উনি " আধুনিক" করে তুলতে চান। বেশ তো করুন না। তবে তাকে 'খেয়াল' বলে ডাকার খামখেয়ালপনা কেন,খেয়াল আঙ্গিকের কিছুই যখন সেখানে নেই? দেড়শো দুশো বছরের একটা শাস্ত্রীয় শৈলী এত সহজে নস্যাৎ করার অধিকার উনি পেলেন কোথা থেকে? আরো অনেক কিছু ছিল বলার এখন থাক।
যদি আপনার সাথে কখনো মুখোমুখি দেখা হয় এবং যদি একটা গান বাজনা করার মতো মোটামুটি পরিবেশ পাওয়া যায়,যদি সঙ্গে একটা ইলেকট্রনিক তানপুরা, তবলা,আর স্বরমন্ডল থাকে(এটা অপশনাল, না থাকলেও চলবে,থাকলে ভালো হয়)তাহলে আমি আপনাকে দেখাতে পারি খেয়াল বাংলা ভাষাতেও হতে পারে,দিব্যি হতে পারে,খুব ভালোভাবেই হতে পারে,শুধু আপনাকে প্রেজুডিস গুলোকে বাদ দিয়ে আসতে হবে।যদি আপনি স্থির বিশ্বাসী হন যে এটা হতে পারেনা,তাহলে কিছু বলার নেই,কিন্তু যদি আপনি একটুখানি ফ্লেক্সিবিলিটি দেখান,তবে কে বলতে পারে,আপনার ভাবনা বদলালেও বদলাতে পারে।সবশেষে একটা কথা,আপনি বলেছেন দেড়শ, দু'শ বছরের এই শৈলী যেটা সুরপ্রধান, তাকে ভাষাপ্রধান করার দরকার কি?আচ্ছা,সুরের সাথে ভাষার বিরোধ কোথায়?কে প্রধান হবে সেটা তো নির্ভর করবে শিল্পীর ভাবনার ওপর।আর যে শৈলীকে আপনি সুরপ্রধান বলছেন,সেটাকে কখনো কথা বাদ দিয়ে গেয়ে দেখেছেন?আমি জানিনা আপনি কে,নিশ্চয় উৎসাহের বশে মন্তব্য করেননি?যদি আপনি শাস্ত্রীয় সংগীতের গোলাম হন,তাহলে চেষ্টা করে দেখবেন তো,কথা বর্জিত খেয়াল সম্ভব কিনা?সবশেষে বলি যে মানুষটা এই কথাগুলো বলছেন তিনি কিন্তু পাড়ার রহিম বা পরাণ নন,তিনি কবীর সুমন।একটু মাথায় রাখবেন।আমি আপনাকে চিনি না,জানি না ভুল করেছি কিনা না চিনে,আপনার অবদান কি রয়েছে গানবাজনার জগতে তাও জানিনা।সেখানে এই মানুষটি গান বাজনার জগতে একজন স্তম্ভ।গানবাজনা। মনে রাখবেন।শাস্ত্রীয় বা আধুনিক এই সব ম্যাটার করেনা একটা স্তরের পর।উনি সেই স্তর পার করে এসেছেন।তার কথা বা ভাবনাগুলোকে তো বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে,অন্তত আপনার বা আমার কথা বা ভাবনার থেকে!!
@@SitalChakraborty মানুষ মাত্রেই prejudiced. আপনিও তাই। আমার কাছে বাংলা ভাষায় বিলম্বিত খেয়াল কন্নড় ভাষায় বাউল গানের মতোই। আমি তারাপদ চক্রবর্তী মশাইয়ের কন্ঠে বাংলা ভাষায় সুদীর্ঘ খেয়াল শুনেছি live recording এ : "দ্রুমে দ্রুমে লতায় লতায়" রাগ ছায়াহিন্দোল (মধ্যলয়ে)ও "আজ শুভদিন" রাগ ভাটিয়ার( অতি বিলম্বিত লয়ে)। সেখানে বাংলা ভাষার তাৎপর্য বুড়ি ছোওয়ার বেশি কিছু ছিল না। তারাপদ পুত্র মানসবাবু, সত্যকিঙ্করপুত্রদ্বয় অমিয়রন্জন ও নীহাররঞ্জন, ও চিন্ময় লাহিড়ী মশাইয়ের পুত্র ও পুত্রবধূ শ্যামল ও মন্দিরা প্রমুখেরা কেন বাংলা ভাষায় খেয়াল গাইলেন না তার কারণ অতি স্পষ্ট। তবে মধ্য কি দ্রুতলয়ে বাংলা শাস্ত্রীয় গান হয়েছে বৈকি। ১৯৩০-৩৫ সাল থেকেই হচ্ছে, তবে "বাংলা খেয়াল" নামে নয়, বাংলা রাগপ্রধান নামে। তার কারণ ওই শিল্পীরা শাস্ত্রীয় বড়ো খেয়ালের দরজাটাকে খুব সম্ভ্রমের চোখে দেখতেন। আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের "গোলাম" নই। কারোরই "গোলাম" বা অন্ধ স্তাবক হওয়া আমার রুচিতে বাধে। তবে শাস্ত্রীয় কন্ঠ সঙ্গীত অসম্ভব ভালোবাসি। কিঞ্চিৎ সখের পড়াশোনাও আছে ওই ব্যাপারে। প্রচুর গান শুনেছি। আমিনুদ্দিন ডাগর, শরাফাৎ হুসেন খান, রবি ও বিজয় কিচলু প্রমুখদের তালহীন সুদীর্ঘ আলাপ করতে শুনেছি রি-রে-না-না-নোম-তোম ইত্যাদি অর্থহীন শব্দের মায়াজাল দিয়ে। কেশরবাঈ, মঘুবাঈ, মল্লিকার্জুন মনসুর, কিশোরী আমনকরদের তালবদ্ধ আকারমাত্রিক স্বরবিস্তার শুনেও মনে হয়েছে যে ভাষার কোনো গুরুত্ব এই মহীরুহদের কাছে নেই-ই। তাই কী করে বলি যে খেয়াল গানে বাংলা ভাষার প্রয়োগ অপরিহার্য। খেয়াল শৈলি সন্দেহাতীতভাবেই সুর প্রধান। ব্যতিক্রম নিশ্চয় আছে, যেমন ডি. ভি. পলুশকর বা যশরাজ। বাংলা ভাষায় খেয়াল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা তাদেরই সাজে যারা শাস্ত্রীয় বড়ো আসরে মান্যতা পেয়ে এসেছেন। আর কেউ করলে সেটা স্পর্ধা বা fad বলে মনে হয়। যে গুণী মানুষটিকে নিয়ে এত বিতর্ক তুলছি তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা শতগুণ বেড়ে যাবে যদি উনি ওনার এই 'বাঙ্লা খেয়ালপনা' বন্ধ করেন। উনি যত প্রতিভাবানই হোন না কেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উচ্চস্তরের ওপরে আছেন বলাটা বেশ বাড়াবাড়ি বলেই মনে করি, যেখানে অজয় চক্রবর্তী স্বমহিমায় বিরাজ করছেন। CD ও live recording এ তথাকথিত "বাংলা খেয়ালের" যেটুকু নমুনা শুনেছি তাতে আমি আমার মত নিয়ে অনমনীয়ই থাকবো। পরিশেষে একটা আবেদন, দয়া করে bass guitar ঢোকাবেন না। যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে। তবে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমার মতো এক অতি সাধারণ 'পরাণের' মতামতকে এত গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
দুঃখটা এখানেই যে আপনার মতো একজন রসিক শ্রোতাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নতুন একটা সম্ভাবনার থেকে।দেখুন কে কি করে গেছেন বা কে কি করেছেন,তারা কেন করেননি,তার কি বৃত্তান্ত যদি সেসবে না ঢুকে আমরা কে কি করতে চাইছেন বা করতে পারেন এখন সেব্যাপারটাকে একটু উদারভাবে দেখি তাহলে তো তাতে ক্ষতি কি?আর bass guitar এর কথা বললেন।দেখুন সেবিষয়ে আপনার মতভেদ থাকতেই পারে।আমিও সুমন বাবুর বাংলা খেয়ালের সব বিশ্লেষণ বা ভাবনার সমর্থক নই,কিন্তু মতান্তর যদি মনান্তর হয়ে যায় তাহলে তো মুশকিল!উনি যে কাজটা করছেন,সেটাকে অগ্রাহ্য করি কি করে,কেউই কি করতে পারে?যেটা কখনো হয়নি,সেটা কখনো হতে পারে না এভাবে ভাবলে তো সভ্যতা,সৃষ্টি সবকিছুই পিছনের দিকে হাঁটবে।আমি জানিনা আপনার মতো সংগীত রসিক ব্যক্তি সেটা কিভাবে চাইতে পারেন!
@@SitalChakraborty ভেবেই বলছি। "বাংলা খেয়াল" নিয়ে আমার আপত্তিটা আঙ্গিকগত , তবে ভাষাগত নয়। । যেটা চলছে ওটাকে কোনো ভাবেই শাস্ত্রীয় খেয়াল বলা যায় না। খেয়ালে ঢিমে লয়ের যে আরোহক্রমিক বিস্তার বা 'বঢ়হত' থাকে তা একেবারেই নেই। তারসপ্তকে কন্ঠ বিচরণও বরবাদ। স্বরের ধ্যান দিয়ে ধীরে রাগের রূপ ফোটানোর কোনো চেষ্টাও দেখছি না। শুধুমাত্র কিছু হালকা জাতের সরগম ও দুর্বল পালটা (ওগুলো প্রকৃত অর্থে তানই নয়) স্হির মধ্যলয়ে বাংলা ভাষায় ফেলে গাইলেই কি গানকে "বাংলা খেয়াল" বলা যায়? না, যায় না। খেয়ালাঙ্গের বুনিয়াদটাই তো নেই। "খেয়াল" শব্দটাকে উঠিয়ে দিয়ে অন্য কোনো শব্দ বসাতে পারছেন না? তাহলে আগ্রহী হতাম।
খেয়ালের বন্দিশ নিয়ে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা বলি। আমার এক অধ্যাপক একদিন বললেন, চল্, একটা হিন্দুস্তানি বন্দিশ শিখে নে মালকোষ রাগে। আহা, মালকোষ শুনে প্রাণ নেচে উঠল, খুব প্রিয় রাগ। কিন্তু তিনি বললেন, "এর কথা শুনে হতাশ হয়ো না। আগে এরকম লেখাও হোতো।" কী লেখা? সব্বনাশ!! "আও সবে মিলকর পানবিড়ি বনায়ে"। হাসব না কাঁদবো বুঝতে পারি নি। এরপর তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে কেন এমনধারা বন্দিশ হত।
ওনার আগে একমাত্র মোহিনী চৌধুরী ছাড়া কেউ নাকি "গুরুচন্ডালি " বাদ দিয়ে গান লেখেননি। হায় ভগবান! রবীন্দ্রনাথের "আমায় দাও গো বলে", " তোমায় কিছু দেব বলে" বা " আসা যাওয়ার পথের ধারে" গানগুলো তবে কি? গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা ও মান্না দে'র সুর-করা ও গাওয়া " কত দূরে আর নিয়ে যাবে " গানটিই বা কি? উনি নাকি "রবীন্দ্রনাথের মতোই একটা accident"! আর কত একচেটিয়া শুনে যাব এই সব বাগড়ম্বর। অশেষ ধৈর্য্য বাঙালি সঙ্স্কৃতিবান সমাজের।
রাগপ্রধান আর খেয়াল দুটি ভিন্ন আঙ্গিকের । নজরুলের গান মূলতঃ রাগ প্রধান আঙ্গিকের । আর একটা কথা... নজরুলের গানকে জনপ্রিয় করেছেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং সুপ্রভা সরকার। সুমনবাবু খেয়াল গাইতে হলে পরিশীলিত কণ্ঠ প্রয়োজন ।আপনার কণ্ঠে সুর কম আছে ।শুধু থিয়োরী দিয়ে কি গান হয়? তাহলে তো ঘরের মেঝেতেই সাঁতার শেখানো যেতে পারে ।
Apnar charone amar sato koti pranam,selam oalekom
Kabir Suman... Encyclopedia of music...a heavenly experience
A musical encyclopedia ❤🙏🏼🙏🏼
মুগ্ধতা, আর মুগ্ধতা
এটা monologue । তাই একচেটিয়া শুনে যাওয়াই কাজ। Dialogue হলে জানাতাম:
১. ৭৮আর.পি.এম. ডিস্কে ৩মি৩০সেকেন্ড অবধি রেকর্ডিং পরিসর থাকে। এটা নির্ভর করে ডিস্কের 'ungrooved space' র ওপর। বহু বাংলা আধুনিক গান ও রাগপ্রধান , ক্লাসিকাল কন্ঠ ও যন্ত্রসঙ্গীত ওই সময়দৈর্ঘেই রেকর্ড করা হয়েছে।
২.আবদুল করিম খান, কেশরবাঈ কেরকর, হীরাবাঈ বরোদেকর, নারায়নরাও ব্যাস প্রমুখদের সাড়ে চার মিনিটের খেয়াল ও ঠুংরি রেকর্ডস্হ হয়েছে দীর্ঘতর ব্যাসের ডিস্কে, ৭৮ স্পীডেই।
৩. "হে সখা মম হৃদয়ে রহো" রবীন্দ্রনাথের মৌলিক সৃষ্টি নয়। ও গানের সুর হিন্দি বন্দীশ "এ সখি, অব কৈসে করু" থেকে হুবহু নেওয়া। রাগ ছায়ানট, বিলাবল নয়। "মোরে বারে বারে ফিরালে'" গানটিও হিন্দি ভাঙা গান। রাগ কামোদ।
৪. তান, বোলতান, গমক, লয়কারি শাস্ত্রীয় খেয়ালের অঙ্গ। সুর বা স্বর বিস্তার সেরে এগুলো গায়করা করে থাকেন। তার জন্য কেউ "হিপোপটেমাস' হয়ে যান না। ক্লাসিকাল গানের শিল্পীদের caricature করাটা কুরুচিপূর্ণ ও অসহ্য।
৫. বক্তার so-called বাংলা খেয়াল সবই দেখছি মধ্য লয়ের একতাল ও তিনতালের। একটা ছিল রূপক তালে। আসলে অতি বিলম্বিত খেয়ালে বাংলা ভাষার প্রয়োগ একেবারেই বেমানান। তাই সে সব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বক্তা নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন যে উনি বিলম্বিত খেয়ালে আনাগ্রহী। তাহলে খেয়ালে ওনার আদৌ আসা কেন? একটা সুরপ্রধান শৈলিকে ভাষাপ্রধান করে তোলার জন্য এত ছেলেমানুষিই বা কিসের জন্য?
৬. ওনার So-called বাংলা খেয়াল কে উনি " আধুনিক" করে তুলতে চান। বেশ তো করুন না। তবে তাকে 'খেয়াল' বলে ডাকার খামখেয়ালপনা কেন,খেয়াল আঙ্গিকের কিছুই যখন সেখানে নেই? দেড়শো দুশো বছরের একটা শাস্ত্রীয় শৈলী এত সহজে নস্যাৎ করার অধিকার উনি পেলেন কোথা থেকে?
আরো অনেক কিছু ছিল বলার এখন থাক।
যদি আপনার সাথে কখনো মুখোমুখি দেখা হয় এবং যদি একটা গান বাজনা করার মতো মোটামুটি পরিবেশ পাওয়া যায়,যদি সঙ্গে একটা ইলেকট্রনিক তানপুরা, তবলা,আর স্বরমন্ডল থাকে(এটা অপশনাল, না থাকলেও চলবে,থাকলে ভালো হয়)তাহলে আমি আপনাকে দেখাতে পারি খেয়াল বাংলা ভাষাতেও হতে পারে,দিব্যি হতে পারে,খুব ভালোভাবেই হতে পারে,শুধু আপনাকে প্রেজুডিস গুলোকে বাদ দিয়ে আসতে হবে।যদি আপনি স্থির বিশ্বাসী হন যে এটা হতে পারেনা,তাহলে কিছু বলার নেই,কিন্তু যদি আপনি একটুখানি ফ্লেক্সিবিলিটি দেখান,তবে কে বলতে পারে,আপনার ভাবনা বদলালেও বদলাতে পারে।সবশেষে একটা কথা,আপনি বলেছেন দেড়শ, দু'শ বছরের এই শৈলী যেটা সুরপ্রধান, তাকে ভাষাপ্রধান করার দরকার কি?আচ্ছা,সুরের সাথে ভাষার বিরোধ কোথায়?কে প্রধান হবে সেটা তো নির্ভর করবে শিল্পীর ভাবনার ওপর।আর যে শৈলীকে আপনি সুরপ্রধান বলছেন,সেটাকে কখনো কথা বাদ দিয়ে গেয়ে দেখেছেন?আমি জানিনা আপনি কে,নিশ্চয় উৎসাহের বশে মন্তব্য করেননি?যদি আপনি শাস্ত্রীয় সংগীতের গোলাম হন,তাহলে চেষ্টা করে দেখবেন তো,কথা বর্জিত খেয়াল সম্ভব কিনা?সবশেষে বলি যে মানুষটা এই কথাগুলো বলছেন তিনি কিন্তু পাড়ার রহিম বা পরাণ নন,তিনি কবীর সুমন।একটু মাথায় রাখবেন।আমি আপনাকে চিনি না,জানি না ভুল করেছি কিনা না চিনে,আপনার অবদান কি রয়েছে গানবাজনার জগতে তাও জানিনা।সেখানে এই মানুষটি গান বাজনার জগতে একজন স্তম্ভ।গানবাজনা। মনে রাখবেন।শাস্ত্রীয় বা আধুনিক এই সব ম্যাটার করেনা একটা স্তরের পর।উনি সেই স্তর পার করে এসেছেন।তার কথা বা ভাবনাগুলোকে তো বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে,অন্তত আপনার বা আমার কথা বা ভাবনার থেকে!!
@@SitalChakraborty
মানুষ মাত্রেই prejudiced. আপনিও তাই। আমার কাছে বাংলা ভাষায় বিলম্বিত খেয়াল কন্নড় ভাষায় বাউল গানের মতোই। আমি তারাপদ চক্রবর্তী মশাইয়ের কন্ঠে বাংলা ভাষায় সুদীর্ঘ খেয়াল শুনেছি live recording এ : "দ্রুমে দ্রুমে লতায় লতায়" রাগ ছায়াহিন্দোল (মধ্যলয়ে)ও "আজ শুভদিন" রাগ ভাটিয়ার( অতি বিলম্বিত লয়ে)। সেখানে বাংলা ভাষার তাৎপর্য বুড়ি ছোওয়ার বেশি কিছু ছিল না। তারাপদ পুত্র মানসবাবু, সত্যকিঙ্করপুত্রদ্বয় অমিয়রন্জন ও নীহাররঞ্জন, ও চিন্ময় লাহিড়ী মশাইয়ের পুত্র ও পুত্রবধূ শ্যামল ও মন্দিরা প্রমুখেরা কেন বাংলা ভাষায় খেয়াল গাইলেন না তার কারণ অতি স্পষ্ট।
তবে মধ্য কি দ্রুতলয়ে বাংলা শাস্ত্রীয় গান হয়েছে বৈকি। ১৯৩০-৩৫ সাল থেকেই হচ্ছে, তবে "বাংলা খেয়াল" নামে নয়, বাংলা রাগপ্রধান নামে। তার কারণ ওই শিল্পীরা শাস্ত্রীয় বড়ো খেয়ালের দরজাটাকে
খুব সম্ভ্রমের চোখে দেখতেন।
আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের "গোলাম" নই। কারোরই "গোলাম" বা অন্ধ স্তাবক হওয়া আমার রুচিতে বাধে। তবে শাস্ত্রীয় কন্ঠ সঙ্গীত অসম্ভব ভালোবাসি। কিঞ্চিৎ সখের পড়াশোনাও আছে ওই ব্যাপারে। প্রচুর গান শুনেছি। আমিনুদ্দিন ডাগর, শরাফাৎ হুসেন খান, রবি ও বিজয় কিচলু প্রমুখদের তালহীন সুদীর্ঘ আলাপ করতে শুনেছি রি-রে-না-না-নোম-তোম ইত্যাদি অর্থহীন শব্দের মায়াজাল দিয়ে। কেশরবাঈ, মঘুবাঈ, মল্লিকার্জুন মনসুর, কিশোরী আমনকরদের তালবদ্ধ আকারমাত্রিক স্বরবিস্তার শুনেও মনে হয়েছে যে
ভাষার কোনো গুরুত্ব এই মহীরুহদের
কাছে নেই-ই। তাই কী করে বলি যে খেয়াল গানে বাংলা ভাষার প্রয়োগ অপরিহার্য। খেয়াল শৈলি সন্দেহাতীতভাবেই সুর প্রধান। ব্যতিক্রম নিশ্চয় আছে, যেমন ডি. ভি. পলুশকর বা যশরাজ।
বাংলা ভাষায় খেয়াল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা তাদেরই সাজে যারা শাস্ত্রীয় বড়ো আসরে মান্যতা পেয়ে এসেছেন। আর কেউ করলে সেটা স্পর্ধা বা fad বলে মনে হয়।
যে গুণী মানুষটিকে নিয়ে এত বিতর্ক তুলছি তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা শতগুণ বেড়ে যাবে যদি উনি ওনার এই 'বাঙ্লা
খেয়ালপনা' বন্ধ করেন। উনি যত প্রতিভাবানই হোন না কেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উচ্চস্তরের ওপরে আছেন বলাটা বেশ বাড়াবাড়ি বলেই মনে করি, যেখানে অজয় চক্রবর্তী স্বমহিমায় বিরাজ করছেন।
CD ও live recording এ তথাকথিত "বাংলা খেয়ালের" যেটুকু নমুনা শুনেছি তাতে আমি আমার মত নিয়ে অনমনীয়ই থাকবো। পরিশেষে একটা আবেদন, দয়া করে bass guitar ঢোকাবেন না। যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে।
তবে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমার মতো এক অতি সাধারণ 'পরাণের' মতামতকে এত গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
দুঃখটা এখানেই যে আপনার মতো একজন রসিক শ্রোতাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন নতুন একটা সম্ভাবনার থেকে।দেখুন কে কি করে গেছেন বা কে কি করেছেন,তারা কেন করেননি,তার কি বৃত্তান্ত যদি সেসবে না ঢুকে আমরা কে কি করতে চাইছেন বা করতে পারেন এখন সেব্যাপারটাকে একটু উদারভাবে দেখি তাহলে তো তাতে ক্ষতি কি?আর bass guitar এর কথা বললেন।দেখুন সেবিষয়ে আপনার মতভেদ থাকতেই পারে।আমিও সুমন বাবুর বাংলা খেয়ালের সব বিশ্লেষণ বা ভাবনার সমর্থক নই,কিন্তু মতান্তর যদি মনান্তর হয়ে যায় তাহলে তো মুশকিল!উনি যে কাজটা করছেন,সেটাকে অগ্রাহ্য করি কি করে,কেউই কি করতে পারে?যেটা কখনো হয়নি,সেটা কখনো হতে পারে না এভাবে ভাবলে তো সভ্যতা,সৃষ্টি সবকিছুই পিছনের দিকে হাঁটবে।আমি জানিনা আপনার মতো সংগীত রসিক ব্যক্তি সেটা কিভাবে চাইতে পারেন!
@@SitalChakraborty
আমায় ভাবিয়ে তুললেন। একটু ভাবি।
আবারও ধন্যবাদ জানাই।
@@SitalChakraborty
ভেবেই বলছি।
"বাংলা খেয়াল" নিয়ে আমার আপত্তিটা আঙ্গিকগত , তবে ভাষাগত নয়। । যেটা চলছে ওটাকে কোনো ভাবেই শাস্ত্রীয় খেয়াল বলা যায় না। খেয়ালে ঢিমে লয়ের যে আরোহক্রমিক বিস্তার বা 'বঢ়হত' থাকে তা একেবারেই নেই। তারসপ্তকে কন্ঠ বিচরণও বরবাদ। স্বরের ধ্যান দিয়ে ধীরে রাগের রূপ ফোটানোর কোনো চেষ্টাও দেখছি না। শুধুমাত্র কিছু হালকা জাতের সরগম ও দুর্বল পালটা (ওগুলো প্রকৃত অর্থে তানই নয়) স্হির মধ্যলয়ে বাংলা ভাষায় ফেলে গাইলেই কি গানকে "বাংলা খেয়াল" বলা যায়? না, যায় না। খেয়ালাঙ্গের বুনিয়াদটাই তো নেই।
"খেয়াল" শব্দটাকে উঠিয়ে দিয়ে অন্য কোনো শব্দ বসাতে পারছেন না? তাহলে আগ্রহী হতাম।
A living legend
Ok
খেয়ালের বন্দিশ নিয়ে এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা বলি। আমার এক অধ্যাপক একদিন বললেন, চল্, একটা হিন্দুস্তানি বন্দিশ শিখে নে মালকোষ রাগে। আহা, মালকোষ শুনে প্রাণ নেচে উঠল, খুব প্রিয় রাগ। কিন্তু তিনি বললেন, "এর কথা শুনে হতাশ হয়ো না। আগে এরকম লেখাও হোতো।" কী লেখা? সব্বনাশ!!
"আও সবে মিলকর পানবিড়ি বনায়ে"।
হাসব না কাঁদবো বুঝতে পারি নি। এরপর তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে কেন এমনধারা বন্দিশ হত।
দাদা গতকাল কবীর সুমন লাইভ এ এসেছিলেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা বলতে, সেই ভিডিও টা দয়া করে আপলোড করুন,❤️🙏🏾
ওনার আগে একমাত্র মোহিনী চৌধুরী ছাড়া কেউ নাকি "গুরুচন্ডালি " বাদ দিয়ে গান লেখেননি। হায় ভগবান! রবীন্দ্রনাথের "আমায় দাও গো বলে", " তোমায় কিছু দেব বলে" বা " আসা যাওয়ার পথের ধারে" গানগুলো তবে কি? গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা ও মান্না দে'র সুর-করা ও গাওয়া " কত দূরে আর নিয়ে যাবে " গানটিই বা কি?
উনি নাকি "রবীন্দ্রনাথের মতোই একটা accident"! আর কত একচেটিয়া শুনে যাব এই সব বাগড়ম্বর। অশেষ ধৈর্য্য বাঙালি সঙ্স্কৃতিবান সমাজের।
Amar konorokom prathagoto siksha nei sangeet-e, sutorang sashtriya sangeet niye konorokom montabya kora spardhaswarup, kintu ekjon samanya shrota hisabe ekantai baktigata motamot Rabindranath bodhhoi socheton bhabei otirikto kaloati borjon korechilen jate shrotar monojog kothay nibodho thake, shastriya sangeet e abar sompurno biparit, noito sudhumatra jontro byabohare e Bismillah Khan sahib, Pandit Nikhil Banarjee, Baba alauddin, Ali akbar Khan sahib er amader eto mugdho kore ki kore, amader moto sadharan shrotar to onader bajna sune mone kono bandish jage ne
রাগপ্রধান আর খেয়াল দুটি ভিন্ন আঙ্গিকের । নজরুলের গান মূলতঃ রাগ প্রধান আঙ্গিকের । আর একটা কথা... নজরুলের গানকে জনপ্রিয় করেছেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং সুপ্রভা সরকার।
সুমনবাবু খেয়াল গাইতে হলে পরিশীলিত কণ্ঠ প্রয়োজন ।আপনার কণ্ঠে সুর কম আছে ।শুধু থিয়োরী দিয়ে কি গান হয়?
তাহলে তো ঘরের মেঝেতেই সাঁতার শেখানো যেতে পারে ।