আর জি কর নিয়ে কী বললেন মমতা?এই ঘৃণ্য হত্যালীলার পেছনে আসল দোষী কে?যাদবপুর দিয়ে আর জি কর এভাবেই চলবে?

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 11 сен 2024
  • বর্তমান সমাজে দাঁড়িয়ে বারংবার একটা প্রশ্নই উঠে আসছে আমরা কি সত্যিই স্বাধীন? এই সমাজে মেয়েরা কি সতিই সুরক্ষিত? শুধু মেয়েরাই নয় ছেলেরাও কি নিরাপদ?
    অনেকেই হয়তো ভাবছেন, কেন এই কথাগুলো বলছি?
    কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তো, স্বাধীনতা দিবসের এই মাসে আমরা কি পেলাম ? একটি মেয়ের জীবন অকালে চলে গেলো! এর আগেরবার ঠিক একই সময়ে ছেলেটির প্রাণ গেলো! কিন্তু বিচার? বিচার আজও পাওয়া গেলনা! সুবিচার পাওয়া যাবে কিনা সেটা আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের জানা নেই!
    আমাদের জেনারেশনের মেয়েরা যদি সত্যিই সুরক্ষিত হতো তাহলে হয়তো এতগুলো ধর্ষণ, এতগুলো নৃশংসভাবে খুন হতোই না। সম্প্রতি আরজিকর হাসপাতালে ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে এইসব প্রশ্ন যেন আরো একবার মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রথম থেকেই মেয়েটির মৃত্যুকে " আত্মহত্যার" তকমা দিয়ে দেওয়া হলেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এমনটাই উঠে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। রাজ্য সরকার থেকে প্রশাসন সকলেই দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবার কথা বারংবার জানিয়েছেন। আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, " আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওদের দাবির সঙ্গে একমত। মেয়েটির বাবা এবং মায়ের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। আমি আমার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির বিরোধী। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনায় এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন আছে। যাতে আর কেউ ভবিষ্যতে এর সাহস না পায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ডাক্তারদের গায়ে যাতে কেউ হাত না দেয়, তার জন্য আমরা প্রত্যেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প করেছি। আমরা যেমন দেখব, হাসপাতালের সুপার, প্রিন্সিপ্যালদেরও নিরাপত্তার বিষয়টা দেখতে হবে। তাদের দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল না,সেটা আমরা তলিয়ে দেখব। হাসপাতালে সিসিটিভি আছে। বুঝতে পারছি না এত সাহস হল কী করে। যাকে ধরা হয়েছে, তার ওখানে যাতায়াত ছিল। যারা বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করে তাদের মধ্য়েই কেউ করেছে। দরকার হলে পুলিশ কমিশনারকে আবারও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Комментарии •