শায়েখ আহমদ উল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ভুলটা কার? কে স্বীকার করবে? || Sajib story |
HTML-код
- Опубликовано: 26 сен 2024
- শায়েখ আহমদ উল্লাহ, গিয়াস উদ্দিন তাহেরী, ভুলটা কার? কে স্বীকার করবে? || Sajib story |
#তাহেরি_হুজুর #শায়েখ_আহমদ_উল্লাহ - Развлечения
🌸 *নবীজি চল্লিশ বছরের পূর্বেও নবী ছিলেন*
★ মোজেজা প্রকাশ হওয়া নবীদের পক্ষেই সম্ভব, নবীজির চল্লিশ বছরের পূর্বে অনেক মোজেজা প্রকাশ হয়েছিল, এখানে একদম ক্লিয়ার নবীজি চল্লিশ বছরের পূর্বেও নবী ছিলেন।
★ কোরআন পাকের মধ্যে রয়েছে, আল্লাহ পাক নবীজির উপর ইমান আনতে বলেছিলেন পূর্বের নবীগণকে, তাহলে পূর্বের নবীরা তো আমাদের নবীজির অনেক আগে দুনিয়াতে এসেছিলেন, এখানে বিষয়টা একদম ক্লিয়ার যে নবীজির চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত প্রকাশ হয়েছিল কিন্তু চল্লিশ বছরের পূর্বেও নবী ছিলেন, যদি চল্লিশ বছরের পূর্বে নবী না থাকতেন তাহলে পূর্বের নবীরা আমাদের নবীজির উপর ইমান আনলেন কীভাবে ???
🔴 *কিছু মানুষের হাদীস অপব্যাখ্যা*
নবীজি ইরশাদ করেছেন আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আঃ) এর রূহ এবং শরীর আলাদা ছিল, এই হাদীসকে কিছু মানুষ অপব্যাখ্যা করছে যে নবীজির তকদিরে অর্থাৎ ভাগ্যে নবী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, সত্যিকারের নবী ছিলেন না, নাউজুবিল্লাহ, তাহলে তাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে সব নবীদের ভাগ্যে নবী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাহলে এটি আমাদের নবীজির ক্ষেত্রেই আলাদা ভাবে কেন বলা হয়েছে ? *উদাহরণ - কোনো হাফেজকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কবে থেকে হাফেজ তাহলে হাফেজ উত্তর দিবে- যেই বয়সে সে কোরআন মুখস্থ কমপ্লিট করেছিল সেই বয়সটাকে, এটাই ঠিক, যদি সে বলে আমি জন্মের আগে থেকেই হাফেজ ছিলাম কারণ আমার জন্মের আগেই তকদিরে লেখা হয়েছিল, তাহলে মানুষ তাকে পাগল বলবে,* ঠিক তেমনি ভাবে যারা এই হাদীসটাকে অপব্যাখ্যা করছে, নবীজির 40 বছরের পূর্বের নবুয়তকে শুধুমাত্র তকদিরে ছিল বলে অ্যাখ্যায়িত করছে এটা তাদের একটা ফাঁকিবাজি কথা, শুধুমাত্র নবীজির তকদিরেই নয়, *নবীজি সত্যিকারের নবী ছিলেন তখনও যখন আদম (আঃ) এর রূহ এবং শরীর আলাদা ছিল,*
📖 *দলিল খন্ডন (সংক্ষেপে)*
তারা দুইটি হাদিস দলিল দেয়, যদিও তাদের হাদিসগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আহলে সুন্নাত ওল জামাতের সঙ্গে মিলে না, অন্যরকম মানে করে, মানে ভিন্ন করে এদিকটা ছেড়ে দিলাম, কিন্তু তারা এই হাদিসগুলো দলিল হিসাবে দিলেও এগুলো মাওকূফ হাদিস অর্থাৎ হাদিসের সনদ সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে *আর আহলে সুন্নাত ওল জামাত যেই হাদিসটা দলিল হিসাবে পেশ করে এটি মারফু হাদিস, এটির বর্ণনা পরম্পরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছেছে* এখন আপনি কোন হাদিসটা মানবেন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন।
*এবং (আল্লাহ) আপনাকে (নবীজিকে) স্বীয় প্রেমে আত্নহারা পেয়েছেন, তখন নিজের দিকে পথ দেখিয়েছেন।*
~ সূরা আদ দুহা, আয়াত- 7
আরবী একটি শব্দের অনেকগুলো অর্থ থাকে, এখানে *ضَالًّا* শব্দের অর্থ কিছু মানুষ পথহারা করেছে, কিন্তু এই শব্দটি নবীজির শানে ব্যবহার করা যায়না, *আলা হযরত রহঃ কানযুল ঈমানের* অনুবাদে এটির অর্থ *স্বীয় প্রেমে আত্মহারা* করেছেন এটাই সঠিক,,
আর যে আয়াতে বলা হয়েছে *তুমি জানতে না কিতাব কি, ইমান কি* এটা আপনাদের বুঝতে ভুল হচ্ছে কারণ আপনাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী নবীজি ইমানহীন ছিলেন, নাউজুবিল্লাহ, একবার চিন্তা করে দেখুন আপনিই বললেন নবীজি ইব্রাহিম আঃ এর মিল্লাতের উপরে ছিলেন আবার আপনিই বলছেন ইমানহীন ছিলেন, এটি আবার কীরকম, এখানে এই আয়াতে ইমানের আরকান, ইমানের তাফসীলান সম্পর্কে বলা হয়েছে, আপনারা যেরকম ব্যাখ্যা করছেন এরকম মোটেও নয়, তাহলে আপনার কাছে প্রশ্ন নবীজি যদি ইমান সম্পর্কে বেখবর থাকতেন, নাউজুবিল্লাহ, তাহলে নবীজি কেন গুনাহ থেকে, শির্ক থেকে বেঁচে ছিলেন ??? তখন তো আয়াত নাজিল হয়নি জেনা করা হারাম, তাহলে নবীজি এইসমস্ত কাজ থেকে কেন বিরত ছিলেন ??? আপনার ব্যাখ্যা অনুযায়ী নবীজি 40 বছরের পূর্বে ইমানহীন ছিলেন, নাউজুবিল্লাহ, কিন্তু আপনি একটাও দলিল দেখাতে পারবেননা চল্লিশ বছরের পূর্বের নবীজির ইমানের খিলাফ কাজকর্মের,, সুতরাং এখানে ইমানের তাফসীলান, আরকানের কথা বলা হয়েছে, নবীজি 40 বছরের পূর্বে ইমানহীন ছিলেন এমনটা মোটেও নয়, কারণ আপনি নিজেই বলেছেন ইব্রাহিম আঃ এর মিল্লাতের উপরে ছিলেন, আবার আপনিই ব্যাখ্যা করছেন ইমান সম্পর্কে বেখবর ছিলেন, এটা কিভাবে হতে পারে,,
আর আপনারা যেটা তকদিরের কথা বলছেন, সকল নবীদের তকদিরে লেখা হয়েছিল তিনারা নবী হবেন তাহলে আমাদের নবীজির ক্ষেত্রেই বিশেষ ভাবে কেন বলা হলো, *নবীজি বলেছেন আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম আঃ রূহ ও শরীর আলাদা ছিল* অন্যান্য নবীদের ক্ষেত্রে তো এরকম বলা হয়নি,
আর *নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন* এখানেই কিন্তু হাদীসটি শেষ নয় আরো আছে এরপর আল্লাহ তায়ালা বললেন কলম লিখো, কলম বললো হে আমার রব কী লিখবো, তখন আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন- যা কিছু তোমার আগে ছিল এবং শেষ পর্যন্ত যা কিছু হবে তুমি সব লিখো, এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কলমকে সৃষ্টি করার আগে আল্লাহ পাক কিছু সৃষ্টি করেছেন, আর প্রথম সৃষ্টি করেছেন নবীজির নূর, কারণ আল্লাহ কলমকে বলেছেন পূর্বে যা হয়েছে লিখো অর্থাৎ পূর্বে কিছু হয়েছে,
আর পূর্বের নবীরাও তো আমাদের নবীজির প্রতি ইমান এনেছিলেন, আল্লাহ পাক নবীজিকে নবী বানিয়ে রেখেছিলেন, রসূল বানিয়ে রেখেছিলেন, ফলে পূর্বের নবীরা নবীজির প্রতি ইমান এনেছিলেন, যদি নবীজি 40 বছরের পূর্বে নবী হিসাবে না থাকতেন, তাহলে পূর্বের নবীরা ইমান আনলেন কীভাবে ???
আপনার প্রচার করাটা আমার ভালো লাগল
জাযাকাল্লাহ
জাযাকাল্লাহ
মাশাল্লাহ❤❤❤