শবে বরাতের ওয়াজ মুফতি আরিফ বিন হাবিব | Shab E Barat Mufti Arif Bin Habib 2022 | Sirat al mustaqeem

Поделиться
HTML-код
  • Опубликовано: 11 фев 2025
  • শবে বরাতের ওয়াজ মুফতি আরিফ বিন হাবিব | Shab E Barat Mufti Arif Bin Habib 2022 | Sirat al mustaqeem
    গতকাল রাতের আলোচনা ,
    ভুমিকা:
    عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ ‏ ‏.‏
    আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
    সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৯০
    এক,
    সন্তান কে লুকমান হাকিমের উপদেশ,
    وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ ‘
    আর যখন লুকমান হাকিম তার ছেলেকে বললেন, হে আমার আদরের সন্তান ! তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করো না। নিশ্চয়ই শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ’ (লুকমান ১৩)।
    দুই
    শিরক্ করলে জান্নাত হারাম,
    إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ-
    ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করেছেন এবং তার বাসস্থান হচ্ছে জাহান্নাম। আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই’ (আল-মায়িদাহ ৭২)।
    তিন,
    শিরক্ করলে সব আমল বরবাদ,
    وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنْ الْخَاسِرِينَ-
    ‘আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি আদেশ করা হয়েছে যে, যদি আপনি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করেন তাহলে আপনার আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন’ (যুমার ৬৫)।
    চার,
    আল্লাহ তা‘আলা শিরকের অপরাধ ক্ষমা করেন না
    إِنَّ اللهَ لاَ يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا-
    ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না, যে লোক তাঁর সাথে শিরক করে। আর তিনি এর চেয়ে নিম্নপর্যায়ের পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর আল্লাহর সাথে যারা শিরক করে, নিশ্চয়ই তারা মহাপাপে জড়িয়ে মিথ্যা রচনা করে’ (আন-নিসা ৪৮)।
    পাচ,
    শিরক্ সবচেয়ে বড় পাপ
    عَنْ عَبْدُ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ أَىُّ الذَّنْبِ أَكْبَرُ عِنْدَ اللهِ قَالَ أَنْ تَدْعُوَ ِللهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ. قَالَ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ مَخَافَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ. قَالَ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ أَنْ تُزَانِىَ حَلِيلَةَ جَارِكَ فَأَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ تَصْدِيقَهَا (وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِى حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ يَزْنُونَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا) الآية.
    আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর নিকটে কোন্ গোনাহটি সবচেয়ে বড়? তিনি বললেন,
    ১.আল্লাহর কোন সমকক্ষ সাব্যস্ত করা। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। লোকটি বলল, তারপর কোনটি?
    ২.তিনি বললেন, তোমার সন্তানকে হত্যা করা এই ভয়ে যে, সে তোমার সাথে খাবে (অর্থাৎ দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান হত্যা করা) সে বলল, তারপর কোনটি? ৩.তিনি বললেন, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া’। রাসূল(সা.) -এর একথারই সত্যায়ন করে আল্লাহ পাক (নেক্কার লোকদের প্রশংসায় আয়াত নাযিল করেন, ‘এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্যকে আহবান করে না এবং যারা নাহকভাবে মানুষ হত্যা করে না যাকে আল্লাহ হারাম করেছেন এবং যারা ব্যভিচার করে না’
    (ফুরক্বান ৬৮; বুখারী,৬৮৬১ )
    ছয়,
    সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ
    قَالَ الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ، وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ، وَشَهَادَةُ الزُّورِ. وَفِي رِوَايَةِ أَنَسٍ: وَشَهَادَةُ الزُّورِ.
    আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রাযিয়াল্লাহু আলাহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)এরশাদ করেছেন যে, কাবীরা গোনাহ সমূহ হ’ল :
    (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা
    (২) পিতামাতার অবাধ্য হওয়া
    (৩) মানুষ হত্যা করা এবং
    (৪) মিথ্যা শপথ করা’ (বুখারী২৬৫৩)।
    কিন্তু আনাস (রা.) -এর বর্ণনায় ‘মিথ্যা শপথ’-এর বদলে ‘মিথ্যা সাক্ষ্য’ শব্দ এসেছে। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫০)।
    সাত,
    হযরত মুয়ায কে নবিজীর দশ উপদেশ,
    মু‘আয বিন জাবাল (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)আমাকে ১০টি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
    (১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় বা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়
    (২) তুমি তোমার পিতা-মাতার অবাধ্য হবে না। যদিও তারা তোমাকে তোমার পরিবার ও মাল-সম্পদ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন
    (৩) ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো ফরয ছালাত ত্যাগ করবে না। তার পক্ষে আল্লাহর যিম্মাদারী উঠে যাবে
    (৪) কখনোই মাদক সেবন করবে না। কেননা এটিই হ’ল সকল অশ্লীলতার মূল
    (৫) সর্বদা গোনাহ থেকে দূরে থাকবে। কেননা গোনাহের মাধ্যমে আল্লাহর ক্রোধ আপতিত হয়
    (৬) সাবধান! জিহাদের ময়দান হ’তে পলায়ন করবে না। যদিও সকল লোক ধ্বংস হয়ে যায়।
    (৭) যদি কোথাও মহামারী দেখা দেয়, এমতাবস্থায় তুমি যদি সেখানে থাক। তাহ’লে তুমি সেখানে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবে মৃত্যুর ভয়ে পালাবে না)।
    (৮) তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী তোমার পরিবারের জন্য ব্যয় করবে (অযথা কৃপণতা করে তাদের কষ্ট দিবে না)।
    (৯) তাদের উপর থেকে শাসনের লাঠি তুলে নিবে না এবং
    (১০) তাদেরকে সর্বদা আল্লাহর ভয় দেখাবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৬১)। মুসনাদে আহমাদ-২২০৭৫
    আরিফ বিন হাবিব
    ১৯/৩/২০২২

Комментарии •