বর্ধমান জেলার ভাতাড় ব্লকের এই রাধা নিকুঞ্জনাগর কুঞ্জ শুধুমাত্র ধার্মিক স্থানই নয় বরং একটি ঐতিহাসিক স্থানও বটে। প্রায় ১০০ বছর আগে স্বর্গীয় শম্ভু নারায়ণ ঘোষাল সপ্নাদেশ পেয়ে একটি রাধা কৃষ্ণের মূর্তি মাটির তলা থেকে উদ্ধার করেন এবং নাম দেন রাধা নিকুঞ্জনাগর। এই কুঞ্জে নিয়মিত রাধা নিকুঞ্জনাগর এর সেবা হয়। বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয় রামনবমী তে এছাড়াও জন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমি ইত্যাদি নানা উৎসব পালিত হয় যত্ন সহকারে। মন্দিরে নিকুঞ্জনাগর এর বামে রাধারানী এবং দক্ষিনে ললিতা সখি বিরাজ করছেন। রাধারাণীর দাস শ্রী শম্ভু নারায়ণ ঘোষাল রচনা করেছেন বিভিন্ন পদ যা আজ তাঁর উত্তরসূরিরা কীর্তন এর মধ্যমে আস্বাদন করে চলেছেন। কথিত আছে একদিন তিনি রাত্রিবেলা নদিয়ার ঘাটে ভজন নিষ্ঠার বলে প্রেমের মূর্তি প্রাণ গৌর এঁর দর্শন লাভ করেছিলেন। নাম প্রচারতরে তিনি ঘুরেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। একদিন তিনি গিয়েছেন এক গন্ডগ্রাম এ এবং মনে মনে ভাবছেন এখানে কে কৃষ্ণনাম করবে! ঠিক সেই সময় এক সাঁওতাল বালক তাঁর কাছে এসে বলে "জয় রাধে "! এছাড়াও অনেক এমন ঘটনা রয়েছে। সেই রসিকপ্রবর, পণ্ডিতপ্রবর শম্ভু নারায়ণ ঘোষাল এঁর প্রতিষ্ঠিত এই রাধা নিকুঞ্জনাগর কুঞ্জ